নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় মা ও মেয়েসহ ৬ জনের লাশ ভেসে উঠেছে। রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ছয়জন হলেন, ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ফতুল্লার চর বক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজপড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকত আলী জানান, একই পরিবারের চারজনের মধ্যে মা-মেয়ে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। আরেক শিশু মেয়ে তাসফিয়া (২) ও শিশুপুত্র তামিম (৫) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৬টি মরদেহ উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রশাসন তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই খেয়া পারাপারের ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠলেও ১০ জন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ৬ জনের লাশ ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিসহ ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ