গিয়াস উদ্দীন রনি, নোয়াখালী: নোয়াখালীতে সুন্দরী নারী সেজে প্রবাসীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব -১১ । সিপিসি র্যাব-১১ এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার খন্দকার মো.শামীম হোসেন বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নোয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব এহজবালিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের বাড়ির আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী মাহমুদ আক্তার আখি ওরফে সুমাইয়া আক্তার বিথী ওরফে সাবিনা (২৬) একই উপজেলার নোয়াখালী শল্লা ঘাটাইয়া বাচ্চু মিয়ার মৃত নুরুল হকের মো.আরিফুল ইসলাম (৩০) একই ইউনিয়নের মধ্যম চর উরিয়া গ্রামের ইস্কান্দার মিয়া বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মোবারক হোসেন ওরফে সোহেল (২৭)।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মধ্য রাতে র্যাব-১১ নোয়াখালীর একটি দল প্রবাসী মো.আনোয়ার হোসেনের (৪০) অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান,কয়েক বছর আগে বিথীর সাথে ইমুতে সৌদি আরব প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর বিথী প্রতারণার আশ্রয় বিভিন্ন সুন্দরী তরুণীদের ছবি আনোয়ারের কাছে পাঠিয়ে ওই ছবির তরুণী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন এবং তার সাথে প্রেমর সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে কয়েক ধাপে বিকাশে ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা এবং স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। কিছু দিন আগে ওই প্রবাসী দেশে ফিরে ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি নানা তাল বাহানা করেন। প্রবাসী প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আটক করেন। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিন প্রতারক প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।
সিপিসি র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার খন্দকার মো.শামীম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার সকালে সুধারাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তিন আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সান নিউজ/এমকেএইচ