খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনার করোনা হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়ের হাতেই শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারী। বিষয়টি জানাজানি হবার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই ওয়ার্ডবয় নজরুলকে অব্যাহতি দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভর্তি রোগীরা।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে মহানগরীর এক গৃহবধূ (২৫) গত ৬ জুন খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৩ জুন রাতে এক ওয়ার্ডবয় পিপিই পরে ওই রোগীর কাছে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে ওই রোগীর শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। বিষয়টি নার্সরা দেখে ফেলায় ওয়ার্ডবয় সরে যায়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার জানান, 'ওই রোগীকে সোমবার ছাড়পত্র দিয়ে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ওই ওয়ার্ডবয়কে চাকরি থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়েছে। তবে রোগী বা তার স্বজনরা লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। ভবিষ্যতে যাতে আর কখনও এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
ভুক্তভুগী গৃহবধূ জানান, ভর্তির পরদিন থেকে নজরুল নামে এক ওয়ার্ড বয় আমার কাছে কারণে-অকারণে এসে ‘উপকার’ করতে চাইতো। তাকে গুরত্ব না দিলে তখন নানা ধরনের কথা বলতো। ১৩ তারিখে রাত ২টার দিকে সে আমাকে ডাকে এবং শ্লীলতাহানি করে। সাথে সাথে আমি সবাইকে জানাই।
এদিকে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেছেন, চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত ওই নারীকে যৌন হয়রানি দায়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে কেবল চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেই তার শাস্তি শেষ হবে না। সে যে অপরাধ করেছে এটা বড় ধরনের অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত ছিল। রোগীর পক্ষে তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, খুলনা করোনা হাসপাতাল পরিচালনা করছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।