বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। ও বাবু সেলাম বারে বার, আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু বাড়ি পদ্মা পার। এরকম বহু জনপ্রিয় কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে যে কবি পেয়েছিলেন ‘পল্লীকবি’ উপাধি, সেই কবি জসীমউদ্দীনের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে শনিবার (১ জানুয়ারি)।
১৯০৩ সালের এই দিনে তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন কবি। আর ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে পল্লীকবি ঢাকায় মারা যায়। পরে পৈত্রিক বাড়ির আঙিনায় প্রিয় ডালিম গাছের তলে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
গ্রামের কবি জসীম উদ্দীনের ১১৯তম জন্মবার্ষিকীতে ফরিদপুর শহরতলী অম্বিকাপুরে কবির সমাধিস্থলে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিম কুমার সাহা, প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, প্রফেসর এম এ সামাদ প্রমুখ।
সভায় বক্তরা গ্রাম বাংলার এই কবির রচনা সামগ্রী নিয়ে বেশি করে গবেষনার তাগিদ দেন। তারা বলেন, আমাদের বাংলার রুপকে আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে কবির লেখা পাঠ্য পুস্তকে আরো বেশি করে তুলে ধরতে হবে। পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
প্রসঙ্গত, পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালী, বালুচর প্রভৃতি।
সান নিউজ/এমকেএইচ