নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৫টি গ্রেনেড, ২৫টি বোস্টার ও ৫১০টি গুলি উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় চুনারুঘাট থানায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় সিটিটিসি ইউনিটের যুগ্ম কমিশনার ইলিয়াস শরীফ, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৪টি গুলিসহ অমিত ত্রিপুরা (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার কর হয়। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। পুলিশকে অমিত ত্রিপুরা জানান, আরও বিপুলসংখ্যক অস্ত্র মজুত আছে। সেই অস্ত্রগুলো হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া অমিত ত্রিপুরা সঙ্গে নিয়ে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সাতছড়িতে এক অভিযান চালায় ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। টানা ১০ ঘণ্টা অভিযানে ঢাকা—সিলেট পুরাতন মহাসড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে দু’টি স্থানে মাটি খুঁড়ে কিছু অস্ত্র উদ্ধারের আলামত দেখতে পান। চিহ্নিত গর্ত খুঁড়ে ১৫টি গ্রেনেড, ২৫টি বোস্টার ও ৫১০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিনে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাতছড়ি জাতীয় বন থেকে র্যাব ও বিজিবি ৭ বার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এসব উদ্ধারে বেশ কয়েকটি মামলা হলেও পুলিশ তদন্তে বের হয়নি এসব অস্ত্রের উৎস। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে ৭টি মামলা ও ২টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মামলাগুলো প্রথমে চুনারুঘাট থানা-পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ তদন্ত করে। ৭টি মামলার মধ্যে ৫টি মামলায়ই পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। অবশেষে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ