আমিরুল হক, নীলফামারী প্রতিনিধি: চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নীলফামারীতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। জেলার ডিমলা উপজেলার ৭টি ও সৈয়দপুর উপজেলার ৫টিসহ ১২টি ইউনিয়নে ভোটের ফলাফলে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাকের পার্টি, ছয়টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও ২টি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। নৌকা প্রতীকে দলীয় প্রার্থীর জয়ের হার মাত্র ২৫ শতাংশ। বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুবিধা পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সুত্র মতে, নির্বাচিতদের মধ্যে ডিমলা সদর ইউনিয়নে আবুল কাশেম সরকার (নৌকা) ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে আনোয়ারুল হক সরকার (নৌকা), পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সরকার (আনারস), নাউতারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আহমেদ ইমতিয়াজ মনি (আনারস) খালিশা চাপানি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী শহিদুজ্জামান সরকার (ঘোড়া), ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র একরামুল হক চৌধুরী (ঘোড়া), বালাপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র জাহেদুল ইসলাম (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাকের পার্টি ও বাকি তিনটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ডা. শাহজাদা সরকার (নৌকা), কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে জাকের পার্টির লানচু হাসান চৌধুরী (গোলাপ ফুল) ও তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী যথাক্রমে কামারপুকুর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন সরকার (মটরসাইকেল), খাতামধুপুর ইউনিয়নে মাসুদ রানা পাইলট (মটরসাইকেল) ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান সরকার জুন (ঘোড়া) নির্বাচিত হন।
সান নিউজ/এমকেএইচ