নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে ছোটনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দফায় দফায় হামলা, নির্বাচনী মাইক ভাংচুর ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের সর্মথকরা আনারস প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের উপর এ হামলা চালায়।
এসময় নারীসহ প্রায় ১৩জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলায় আহতরা হলেন, নাহিদ, অপু, আরিফ, বিলকিস, ইতি, হ্যাপি, সুজন, শাহিন, জুয়েলসহ প্রায় ১৩জন। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নাহিদ, অপু, আরিফ।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটন অভিযোগ করে বলেন, গত ৩-৪ দিন যাবৎ নৌকা প্রার্থীর ইন্দনে তার সমর্থকরা আমার কর্মীদের নানাভাবে ঝামেলায় ফেলছে। দুই দিন আগেও আমার প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলেছে। শুক্রবার রাতে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলে ও বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে এসে নানারকম হুমকিমূলক স্লোগান দেয়।
তিনি বলেন, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাদাপোল এলাকায় আমার স্ত্রী ও বোনরা মিলে প্রচারণায় নামেন, তখন নৌকা প্রার্থীর ভাই মাদক ব্যবসায়ী মোসলেউদ্দিন ও হারুনসহ একাধিক লোক তাদের প্রচারণায় বাধা দেন এবং আমার সকল পোস্টার ছিড়ে ফেলেন। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে আমার ছোট ভাইসহ কর্মীরা প্রচারণা চলাকালে নৌকার ক্যাডার বাহিনীরা আমার ছোটভাইসহ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৩ জন লোক আহত হয়। তার মধ্যে ৩জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনের কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন দাবি করেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাই ও কর্মী সর্মথকদের উপর আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর যে অভিযোগ করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউনিয়নে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। সকালে আমার কর্মীরা এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে গেলে সেখানে আমার কর্মীদের উপর তারা হঠাৎ হামলা চালায়। এতে আমার একজন কর্মী গুরুতর আহত হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ইলিশায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ভোলা সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সোহরাওয়ার্দী।
সান নিউজ/তপু/এফএইচপি