নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকার যাত্রবাড়ি থেকে কক্সবাজার ঘুরতে আসা এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ৭ জনকে আসামি করা হয় যার মধ্যে ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং তিনজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়।কক্সবাজার মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
ওসি বলেন, ওই নারী পর্যটককে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট নিয়ে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। আসামিরা হলেন- প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদি হাসান বাবু ও হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। বাকি তিনজন অজ্ঞাত।
এর আগে নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্তের কথা জানায় র্যাব-১৫। আর ধর্ষকদের সহযোগী হিসেবে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন (৩৩) নামে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজারকে আটক ও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার রাতে শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে ওই নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে শহরের লাইট হাউজ এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেল থেকে একই রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আশিক সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। ঘটনার পর থেকে সাদ্দামের সঙ্গে আশিক, জয়া ও অন্যদের বিভিন্ন সময় তোলা নানা ধরনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেকোন জায়গায় গেলে অনেকে আমাকে কাছে পেয়ে ছবি তোলেন। অভিযুক্তরা কেউ ছাত্রলীগের পদ-পদবিতে নেই বলে দাবি করেন তিনি।
সাননিউজ/এএএ