নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে নির্যাতিত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেরার বীজবাগ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের জহিরের ডেকোরেটর দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় একই দিন রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বীজবাগ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের মজু কারিগর বাড়ির মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ধর্ষক জহির উদ্দিন (৪৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত আলী সারেংয়ের ছেলে হাবীব উল্যাহ (৪৩)।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক জহির পেশায় একজন ডেকোরেটর দোকানদার এবং অপর আসামি হাবীব ওই জায়গার মালিক। বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী ওই মাদরাসা ছাত্রীকে টাকা পয়সা দিয়ে প্রলোভন দেখাত ধর্ষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকোরেটর দোকানের সামনে পৌঁছলে ধর্ষক জহির মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্যাটার বন্ধ করে হাবীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বিষয়টি টের করতে পেরে ধর্ষকের দোকানে হানা দিলে সে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রী তার মা এবং স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়।
ওসি মো.ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী আরও জানান, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ