নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় ইমরান খন্দকার (২০) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা শহরের আলেখার চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ইমরান কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সুজানগর এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানান ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় তার মামাতো ভাই জিসান (এজাহার নামীয় ০৮ নং আসামি) তাকে ফোন করে তাদের বাসার দিকে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমরান এজাহারনামীয় আসামি শাহ আলম, সাব্বির, জেল সোহেল, সাজন ও মাসুমসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই তিনজন লোক দেখতে পান। তারা তিনটি কালো ব্যাগে অস্ত্র এবং হাত বোমা ভর্তি করছিলেন। ইমরান এবং জিসান তাদেরকে ব্যাগ ভর্তি করতে সহযোগিতা করেন। তারপর ব্যাগ তিনটি ইমরান এবং জিসানকে দিয়ে তারা পালিয়ে যান। এরপর ইমরান ও জিসান ব্যাগ তিনটি সংরাইশ এলাকায় রহিম ডাক্তারের গলিতে তাজিহা লজ নামক বাসার ভেতরে ফেলে দিয়ে চলে আসেন।
এ হত্যার ঘটনায় ইমরানকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। তখন পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলি লাগে। এলোপাতাড়ি গুলিতে আরও ৪ জন আহত হন।
পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকি চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ হত্যার ঘটনায় ইমরানসহ কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় এজাহারভুক্ত চারজন ও এজাহারের বাহিরে তিনজনসহ মোট ৭ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার ভোরে এই মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো. সাব্বির রহমান (২৮) ও মামলার ৫ নম্বর আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাঁকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
সান নিউজ/ এমবি