নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাণঘাতী করোনায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এমন অবস্থায় দেশের করোনা বিস্তার রোধে সরকার নিচ্ছে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত। তাই এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে।
এরমধ্যে নতুন করে ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও যশোরের কয়েকটি এলাকা ‘রেড জোন’ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ফেনী জেলার- ফেনী পৌরসভাসহ রামপুর, ডাক্তার পাড়া, শান্তি কোম্পানি রোড এলাকা ও দাগনভূঁঞা উপজেলাধীন পৌরসভা, ইয়াকুবপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, রাজাপুর ইউনিয়ন এবং ছাগলনাইয়া পৌরসভাকে অত্যধিক ঝুঁকি বিবেচনায় (রেড জোন) করে শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ লকডাউন বলবত থাকবে।
ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, লকডাউন চলা অবস্থায় সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নিত্য পণ্য দোকান খোলা রাখা যাবে। আর সবজি, মাছসহ কাঁচাবাজার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ওষুধের প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কেবল জরুরি সেবা ছাড়া শুক্রবার থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলে নবীনগর করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ মাসুমের স্বাক্ষরযুক্ত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লকডাউনভুক্ত এলাকাগুলো হলো- টিএন্ডটি পাড়া, কলেজ পাড়া, পশ্চিম পাড়া, হাসপাতাল পাড়া ও ভোলাচং। লকডাউন বিধিমালা অনুযায়ী এসব এলাকার মানুষ বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরে থেকেও ঘোষিত এসব এলাকায় অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় এনে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত পৌর এলাকায় জরুরি সেবা সার্ভিসের পরিবহন ব্যতীত সব ধরনের যান ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকারও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, অভয়নগরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিন বাড়তে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরো উপজেলা লকডাউন না করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে সর্বনিম্ন ১৪ দিনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে লকডাউন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে (বাগদাহ গ্রাম) লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে উপজেলাধীন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবত থাকবে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/ আরএইচ