নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র জমা দানের শেষ দিন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা নেয়া হয়।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দশটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ মেম্বার পদে ৩৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এ বি এম আজমল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৪ জন; চতুল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন; গুনবহা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১ জন; শেখর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১ জন; রূপাপাত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১ জন; সাতৈর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৩ জন; ময়না ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৫ জন; ঘোষপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৩ জন এবং দাদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এ বি এম আজমল হোসেন জানান, বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ৬০ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩৭২ জন মেম্বার পদে ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে শেখর, রূপাপাত ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সমবায় অফিসার মো. সিরাজুল ইসলামকে প্রার্থীদের আচরণ বিধি লংঘনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার কক্ষের ভেতর কেউ মিছিল নিয়ে ঢোকেনি। বাইরে আমি মিছিলের শব্দ শুনেছি। বাইরে মিছিল দিলে আমার কি করার আছে? এটা প্রশাসনের দেখার বিষয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। নির্বাচনী আচরণ বিধি সম্পর্কে জেনে এ ব্যাপারে পরে আপনাকে জানাচ্ছি।
সান নিউজ/এনকে