নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনকে কেন্দ্র করে কটূক্তি এবং নির্মাণে প্রতিহতের ঘোষণার অভিযোগে পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে আব্বাসকে ওই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।
পৌর মেয়র আব্বাস আলীর ফাঁস হওয়া ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, বড় হুজুরের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজশাহী সিটি গেটে জীবন দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসাতে দেবে না। ম্যুরালটা দিলে ঠিক হবে না। আমার পাপ হবে। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এটা সঠিক না। বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি?
তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়।
বোয়ালিয়া থানায় করা অভিযোগে বাদী রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরেও নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
সান নিউজ/এফএইচপি