নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় মাহবুব আলম আবু (৩২) নামে এক যুবকের লালসার শিকার হয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক তরুণী। তিনি ধর্ষণের শিকার হয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আবু তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ভেলকুগঞ্জ মুহুরিহাট এলাকার মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
এদিকে, ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার কারণে প্রতিবন্ধী তরুণীর শরীরে পরিবর্তনের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত রোববার (২২ নভেম্বর) রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মাহবুব আলম আবুকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভেলকুগঞ্জ মুহুরিহাটের মোঃ জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ আসছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই তরুণী। এর মধ্যে ওই বাড়ির ছেলে মাহবুব আলম আবু ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাকে ভয়ভীতি দেখান ধর্ষক আবু। এর মধ্যে গত শুক্রবার ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাড়ির লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
পরে বিষয়টি আবুর পরিবারকে জানালে তরুণীকে গ্রহণ না করে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। এমনকি ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। তবে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত শনিবার ওই তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর আবুর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলা হয়। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও প্রতিবন্ধী হওয়ায় তারা মেয়েটিকে গ্রহণ করতে চায়নি।
এদিকে, অভিযুক্ত ধর্ষক মাহবুব আলম আবুসহ তার বাবা জয়নালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া উপজেলা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সায়েম মিয়া। তিনি জানান, প্রতিবন্ধী তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটানো হয়। একই সাথে ঘরবন্দী করে রাখা হয়েছিল। তবে কোনভাবেই অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ