নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে উঠেছে। তারা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো.মাহফুজুর রহমান।
অভিযোগ উঠার পর পরই উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহফুজুর রহমানকে চট্টগ্রাম জেলায় বদলি করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে পরিদর্শকের (তদন্ত) বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোমবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক লিখিত আদেশে এ বদলি করা হয়। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজদ বহাল তবিয়তে থাকায় অভিযোগকারী পরিবারের মাঝে আতঙ্ক-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীর রুফিয়া খাতুনের (৪০) অভিযোগ তার ছেলে সম্রাটকে (২২) উপজেলার চরহাজারী বাজার থেকে থানার হাজতে আটক রাখা হয়। পরে এসআই মাহফুজ টাকা দিয়ে ছেলেকে হাজত থেকে নিয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ১৩ হাজার ৭০০ টাকা দিলে ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গত শনিবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসআই মো. মাহফুজুর রহমানের আটক বাণিজ্যের কথোপকথনের একটি অডিও আসে। ওই অডিওতে এসআই মাহফুজ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, হাজতে আটকে মোট ৩ জন থেকে ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা নেওয়া হয়। সেখান থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদকে ১৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। অডিওটি যড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছেন এসআই মাহফুজ।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মাহফুজসহ তিন উপ-পরিদর্শক বদলি হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে বদলির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
সান নিউজ/এমকেএইচ