জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হামলার শিকার হন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এ হামলার পৌনে তিন ঘণ্টা পর পুলিশি নিরাপত্তায় টাঙ্গাইল ছেড়েছেন তারা।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ একই মাজারে ফুল দিয়ে বিকেলে ভিপি নুরের সঙ্গে দেখা করতে এসে একত্রে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বের হন। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল সদর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকা ড. রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হন তারা।
এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যান গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। বিকেলে তারা ডা. জাফরুল্লাহের সঙ্গে ঢাকার দিকে রওনা হন।
এদিকে হামলার পর ভাসানীর মাজার ও মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার সহযোদ্ধারা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে মাজারের পাশে থাকা পুলিশভ্যানে তোলেন। এরপরও মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সামনেই পুনরায় হামলা করে। একপর্যায়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আমাদের সেখান থেকে টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হেফাজতে নেয়। আর ড. রেজা কিবরিয়াকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়।’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ‘ড. রেজা ও ভিপি নুর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হয়েছে।’
সান নিউজ/ এমবি