নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে একই পরিবারের দু’সদস্যসহ তিন ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। বুধবার (১০ জুন) দুপুরে জেলার লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গণ্ডব গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গন্ডব গ্রামের আমিনুর রহমান মোল্যা ওরফে হাবিব মোল্লা (৫২), মোকতার মোল্লা (৬০) ও রফিকুল ইসলাম (৩২)।
নিহত মোকতার মোল্লা এবং আমিনুর রহমান মোল্লা ওরফে হাবিব মোল্লা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, গন্ডব গ্রামের বাসিন্দা নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের দলের লোকজনের সঙ্গে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) একই গ্রামের অধিবাসী মিরাজ মেম্বারের লোকজনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে মিরাজ মোল্লা গ্রুপের খালিদ হোসেন বাজারে যাওয়ার পথে গন্ডব গ্রামের বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে তাকে ধরে হাতুড়িপেটাসহ মারধর করে প্রতিপক্ষ বিপ্লব গ্রুপের লোকজন। মিরাজ মোল্লা গ্রুপের লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ বিপ্লব গ্রুপের লোকজন মিরাজ মোল্লার লোকজনের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ হামলা চালায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মিরাজ মেম্বারের পক্ষের আমিনুর রহমান মোল্লা ওরফে হাবিব মোল্লা, মোকতার মোল্লা ও রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। মোকতার মোল্লা ও আমিনুর রহমান মোল্লাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রফিকুল ইসলামকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য জোরালো অভিযান চলছে।
এ ঘটনার পর নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লব ও তার অনুসারীদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। অপরপক্ষ মিরাজ মেম্বারকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।