নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মাছ শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৫ কেজি ১২৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতল ধরে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল মজিদ (৫০)। আর প্রথম পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা জিতে নিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ওই মাছ শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আব্দুল মজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, বছরের একাধিকবার সরাইল সরকারি কলেজ দিঘিতে দিনভর বড়শি দিয়ে শৌখিন মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সরাইল কলেজ দিঘি মৎস্য চাষ সমিতি ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ভোর ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা মাছ শিকার করতে পারেন। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ওই দিঘিতে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
মূলত এবার প্রতিযোগীদের জন্য ছিলো ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার ৭টি পুরস্কার। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগেভাগেই টিকিট কাটতে হয়। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে ২২ হাজার টাকার টিকিট কাটতে হয়েছে। প্রতিযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ৩১ জন শৌখিন মৎস্য শিকারি অংশ নেন।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টায় টিকিট কেটে প্রতিযোগীতায় অংশ নেন আব্দুল মজিদ। লটারির মাধ্যমে ২৮ নম্বর আসন পান তিনি। সকাল ১০টার দিকে তার বড়শিতে ৫ কেজি ১২৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়ে। এরপর সারা দিনে আর কোনো মাছ শিকার করতে পারেননি তিনি।
প্রতিযোগীতায় ৫ কেজি ১২৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতল ধরে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল মজিদ। তাকে ২ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উশিউড়া গ্রামের শিতোষ বিশ্বাস ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের কাতল শিকার করে দ্বিতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা ও গাজীপুর জেলার মোশাররফ হোসেন ৪ কেজি ৪৭৫ গ্রাম কাতল শিকার করে তৃতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা জিতে নিয়েছেন।
সরাইল উপজেলা শৌখিন মৎস্য শিকার সমিতির সভাপতি রতন বক্স জানান, প্রতিবছর এই দিঘিতে কয়েকবার মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বর্তমানে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান দিঘিটি তিন বছরের জন্য ১০ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন।
সান নিউজ/ এমবি