নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মা ইলিশ রক্ষায় এবং ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে রোববার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত আট মাস ২৩ দিন ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এ পদক্ষেপের প্রথম ধাপে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে কার্যকর হবে।
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, “মা ইলিশ ৮০ শতাংশ ডিম ছাড়ে আশ্বিনের পূর্ণিমায়। এ জন্য প্রতি বছর আশ্বিনের পূর্ণিমা ও অমাবস্যার মাঝের ২২ দিন ইলিশ নিধন বন্ধ রাখা হয়। এ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৫ অক্টোবর।”
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল দপ্তরের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে বলেন, “২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারের (প্রায় ১০ ইঞ্চি) ইলিশকে জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়। জন্মের পর থেকে এক বছর বেঁচে থাকতে পারলে সেটি কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি বা এক ফুট আকৃতির বড় ইলিশে পরিণত হবে। এ জন্য প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধনে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় জেলেরা ৫ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার কম ফাঁসের জাল ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।”
এদিকে পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটারের অভয়াশ্রমে রোববার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি টানা তিন মাস ইলিশ নিধন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুস সালেহীন গণমাধ্যমকে বলেন, “আট মাসের জেলেদের প্রণোদনা হিসাবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চার মাসে ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগে তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৯১ জন।”
সান নিউজ/এমএইচ