নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মামলার বাদীর সাথে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় আটক হওয়ার পর সেই পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে (৩৮) প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল হোসেন। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। তিনি গ্রামের লোকজনদের ডেকে আনেন। পরে গ্রামের লোকজন এএসআই তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেন।
এক প্রতিবেশী বলেন, কিছুদিন আগে ওই নারীর ভাশুরের সঙ্গে তার স্বামীর জমি নিয়ে বিরোধ হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় এই ঘটনায় ভাশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এএসআই তোফাজ্জল হোসেন। মামলার তদন্তের খাতিরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিলো তার। সেই থেকে তাদের দুই জনের মধ্যে গড়ে ওঠে পরকীয়া প্রেম।
তবে বাদী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তোফাজ্জলের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় থাকায় রাতে খেতে ডেকেছিলেন তিনি। গ্রামবাসী তোফাজ্জলকে গোয়ালঘর নয়, বাড়ি থেকে আটক করেছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, অভিযুক্ত এএসআইকে সাময়িকভাবে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় আটক হওয়ার ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/ এমবি