নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা এবং ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের কারণে আরো দু’জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মঙ্গলবার (৮ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্তরা হলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য জামাল হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউপির ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পূর্ণিমা রানী বণিক।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার লাউরফতেহপুর ইউপি’র মহিলা সদস্য পূর্ণিমা রানী বণিক এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।'
পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'খাগড়াছড়ি জেলার তাইন্দং ইউপির সদস্য জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।'
এতে আরো বলা হয়, 'উল্লেখিত সদস্যদ্বয় কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।'
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাবপত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৮৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এদের মধ্যে ২৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৫৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
সান নিউজ/সালি