নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর: মানসিক রোগী মৌসুমীর চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যয়ভারের দায়িত্ব নিলেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। মৌসুমীর বয়স যখন সাত বছর তখন মা নার্গিস আক্তার অভাবের সংসার ছেড়ে তার বাবার বাড়ি চলে যান। মাকে হারিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে ছোট্ট শিশুটি।
প্রথম দিকে চিকিৎসা করালে মৌসুমী অনেকটা সুস্থ হলেও অভাবের সংসারে শেষ পর্যন্ত আর চিকিৎসা করাতে পারেননি বাবা। এরপর থেকে শুরু হয় বাড়ির উঠানে শিকলবন্দি জীবন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে মৌসুমী।
মানসিন ভারসাম্যহীন শিকলবন্দি মেয়ে মৌসুমী (১৪)'র চিকিৎসার জন্য মানবিক এ বিষয়টি নিয়ে গত (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন স্থানীয় সংবাদকর্মী। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের নজরে আসে।
পরে তিনি মৌসুমীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা, ওষুধ ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন এবং (৩ আগস্ট) শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে মৌসুমীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জুবায়ের মিয়ার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। প্রথমে সেখানেই তার যাবতীয় চিকিৎসা করানো হয়।
পরে জাতীয় মানসিক ও স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ১৯ দিন চিকিৎসার পর বর্তমানে মৌসুমী অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ার পথে। দীর্ঘ ৭ বছর পর ফিরে পেয়েছেন তার মাকেও।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটার দিকে মৌসুমীর খোঁজখবর নিতে বাড়িতে উপস্থিত হন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। এ সময় মৌসুমী ও তার বাবা-মায়ের জন্য নতুন জামা-কাপড় উপহার নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। অসুস্থ মৌসুমী সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসা পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন এই সংসদ সদস্য।
এ সময় উপস্থিত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস, পজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন্নহার মেজবাহ, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির হিমু, গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম দুলুসহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সান নিউজ/এফএআর