নিজস্ব প্রতিনিধি ঝালকাঠি: ঝালকাঠি শহরের বিশ্বরোড এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী সহকারী শিক্ষকের সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত হন অপর এক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
গত মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার পরে এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
খবর পেয়ে স্বামী ওই শিক্ষকের বাসায় গিয়ে সত্যাতা পান। এ সময় উভয় শিক্ষককে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ওই দুই শিক্ষক।
জানা যায় নৈয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশীদ নিজ বাসায় তার স্ত্রী না থাকার সুবাধে অবৈধ কর্মে লিপ্ত হন টাইগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতানা জাহান মুনার সাথে।
ঘটনার খবর পেয়ে মামুনুর রশীদের স্ত্রী মুনার স্বামী ফরিদকে জানায় যে তার স্ত্রী তাদের বাসায় মানুনের সাথে আছে। ফরিদ ঘটনস্থলে গিয়ে সত্যতা পান যে মানুনের বাসায় তার স্ত্রী গিয়েছে। এলাকার লোকজন জানায় মামুনের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার বাসায় প্রায়ই মুনা আসত।
শিক্ষক মুনার স্বামী ফরিদ একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ঝালকাঠি সদর থানার এস আই হজরত আলী মামুন ও মুনাকে থানায় ডেকে আনেন।
এ ব্যাপারে নৈয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, শিক্ষক মুনার সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সে প্রায়ই আমাদের বাসায় আসত। ঘটনার সময় আমার স্ত্রী বাসায় ছিল না। তাকে আমি একটি লোন করিয়ে দিয়েছি। সেই টাকা দিতে আসছিলো আমার কাছে। তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভাল না থাকায় তিনি সামাজিকভাবে হেয় করতে এমন অভিযোগ করেছেন।
টাইগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতানা জাহান মুনার স্বামী ফরিদ জানায়, তার স্ত্রী মুনার আচারণে তিনিও ক্ষিপ্ত ছিলেন। মামুনের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মুনাকে তার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
তিনি আরও বলেন, যদি কোন প্রয়োজন হয় তবে বাহিরে বসেই কথা বলতে পারে। কিন্তু মামুনের স্ত্রী বাসায় না থাকার সময়ে কেন মুনা গেল? এ ঘটনায় আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালা করার কথা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুনাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঝালকাঠি সদর থানায় এসআই হযরত আলী বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মুনা ও মামুনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কোন স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এমকেএইচ