নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের জেএম সেন হলে হামলার ঘটনায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ সাতজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া তিনজনের বয়স ১৯ বছরের কম হওয়ায় রিমান্ড আবেদন করেনি পুলিশ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দীন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকনিয়া ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির (২৫), সদস্য সচিব মিজানুর রহমান (৩৭), বায়েজিদ থানা শাখার আহ্বায়ক মো. রাসেল (২৬) এবং ইয়ার মোহাম্মদ (১৮), মো. মিজান (১৮), গিয়াস উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত (১৯), হাবিবুল্লাহ মিজান (২১), মো. ইমন (২১) ও ইমরান হোসেন।
এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, কর্মী ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেনের।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, আমরা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে ৭ জনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি বলেন, যুব অধিকার পরিষদের ওই নেতাদের পরিকল্পনাতেই ১৫ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলা হয়। হামলার পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়। ওই ঘটনায় মোট ১০০ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে নুরুল হক নুরের দাবি, চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে যে দুই নেতাকে গ্রেফতার করা, হয়েছে তারা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগে সংগঠনটির নেতাকর্মী আটকের প্রতিবাদে কর্মসূচি থেকে এ দাবি করেন তিনি।
সান নিউজ/এফএইচপি