রংপুর প্রতিনিধি: পাহাড়ি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, রাতে তিস্তার পানি আরও ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় নদী তীরবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
পাউবোর রংপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, দেশের উজানে ভারতের সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে আরও ১০-১৫ সেন্টিমিটার পানি বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে, কুড়িগ্রামে হুহু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। প্রবল স্রোতের কারণে পানি বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে নদী ভাঙন। এতে করে আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষজন।
বুধবার (২০ অক্টোবর) প্রচণ্ড নদী ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলে চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। তিস্তা নদীর অববাহিকায় কাউনিয়া পয়েন্টে প্রায় দেড়শ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যেকোন মুহুর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাননিউজ/জেআই/এমআর