নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি : প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি রাঙামাটির সাজেক। কুয়াশা হিমশীতল হাওয়ার সঙ্গে এখানে মেঘের মিতালি। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব ৬২ কিলোমিটার। সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও পর্যটকদের সাজেকে পৌঁছাতে হলে খাগড়াছড়ি সড়কের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাজেকের দুধারে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা, সরু মেঠো পথ আর উঁচু-নিচু পথ। শরতের সাদা-আকাশ, কাশফুল ফুটে আছে রাস্তার দুপাশে। আর সড়কের দুপাশে জুমের ফল নিয়ে বসে আছেন স্থানীয় মানুষজন।
শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে অনেক পর্যটক ঘুরতে যান সাজেকে। এ ভ্রমণে পাহাড়ের জুম ফলের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ একটু বেশি থাকে।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটের কিয়াংঘাট এলাকা। সেখানে স্থানীয় সম্প্রদায়ের ১২ জন মানুষ বসে আছেন পাহাড়ের জুম ফল নিয়ে। এখানে দেখা যায়, ডাব, বেল, পেঁপে, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আখ, জাম্বুরাসহ নানান রকমের কলার সমাহার।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইন্দ্রজিৎ চাকমা (৫৫) বলেন,দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সাজেকে আসেন। সাজেকে পৌঁছাতে হলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে যেতে হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সাজেকে আসেন। সবার সুবিধার জন্য বাঘাইহাট সেনাবাহিনীর ১২ বীরের জোনের সামনে জুম ফল নিয়ে সবাই একত্রিত হন। কিয়াংঘাটে ১০ থেকে ১২ জন মানুষ জুম ফল বিক্রি করেন। এতে দিনে তিনশ থেকে ১ হাজার টাকার জুম ফল বিক্রি হয়ে থাকে।'
ফল বিক্রেতা মো. হানিফ (৬০) বলেন, শহরের মানুষের পাহাড়ের ফলের প্রতি একটু চাহিদা বেশি। সব সময়ই ফল বিক্রয় হয় না, তবে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এই তিন দিন ফল বিক্রি বেশি হয়। এ সময় পাঁচশ থেকে ৫ হাজার টাকার ফল বিক্রয় করে থাকি।
এ বিষয়ে পর্যটক সুবর্ণা দে (২৬) বলেন, সাজেকের পথে হঠাৎ পাহাড়ের জুম ফল নিয়ে কিছু মানুষ বসে আছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি সতেজ ফল দেখে বাসার জন্য কমলা, আর বেল কিনেছি।
আরেকজন পর্যটক মো. রফিক (৩৮) বলেন, 'পাহাড়ের ফল সুস্বাদু। আর তাজা ফলের প্রতি আমার দুর্বলতা বেশি কাজ করে। সড়কের দুধারে জুম ফল বিক্রি করাতে পর্যটকদের জন্য সুবিধা হয়েছে। এতে সময় কম আর সহজে কিনে খাওয়া যায়।
সাননিউজ/ জেআই