নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি কমছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়ে আসছে ঘাট এলাকায়। প্রতিটি যানবাহন দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। প্রতিটি যাত্রীবাহী পরিবহনকে তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গত দুই থেকে তিন দিন আগের পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
ঈগল পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল জানান, সারা বছরই ভোগান্তির শিকার হয়ে তাঁদের পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির একটাই পথ আর সেটা হলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে ১০০ ফেরি দিলেও ভোগান্তি কমবে না।
আরেক যাত্রী ইয়াসমিন আক্তার জানান, কত সময় বসে থাকা যায়! একে তো গরম, তার ওপর দীর্ঘ জ্যাম। এই নৌরুট গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পনেরো বছর যাবৎ এই রুট দিয়ে যাতায়াত করেন। অধিকাংশ সময়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই রুটের যানবাহনের চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এবং দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ড্রেজিং চলায় ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, এই রুটে ছোট-বড় মিল ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে ড্রেজিং এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তাঁরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী পরিবহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করছেন।
জামাল হোসেন আরও জানান, ঘাট এলাকায় ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট পরিস্থিতির নিরসন হবে না।
সাননিউজ/ জেআই