নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিশ্বাস সিরামিকস অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ২৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হীরাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়।'
ওসি আরও জানান, উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত বিশ্বাস সিরামিকস অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেডের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সাব্বির আহমেদের কাছে কিছুদিন ধরে ২৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন পাটমন্ত্রীর ছেলে গাজী গ্রুপের এমডি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গোলাম মর্তুজার পিএস পরিচয়দানকারী কামরুজ্জামান হীরাসহ তার সহযোগীরা। চাঁদা না দিয়ে কারখানার উৎপাদন চালু রাখলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।
চাঁদার টাকা না দিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানার প্রধান ফটকে ড্রাইভার তুহিন মিয়া মালামাল নিয়ে গোপালগঞ্জে যাওয়া জন্য ট্রাকে লোড করছিলেন। খবর পেয়ে ১৬-১৭ জন সহযোগীসহ হীরা এসে বাধা দেয়। এ সময় সাব্বির আহমেদ এগিয়ে গেলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধসহ উৎপাদিত মালামাল বাইরে কোথাও পাঠাতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয় তারা। অন্যথায় সাব্বির আহমেদকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সাব্বির বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হীরাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে বেলা ৩টার দিকে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুজ্জামান হীরা, মহিউদ্দিন, তাপস দাস, সাজ্জাদ হোসেন ও রনি ভূইয়া নামে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে।
ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, 'গ্রেফতারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'
এ ব্যাপারে কথা বলতে গাজী গ্রুপের এমডি গোলাম মর্তুজা পাপ্পার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।