নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকারের ঘটনায় প্রেমিকসহ দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহুবল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। দু’জন হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের হুদ খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ ও একই উপজেলার বরগাও গ্রামের আহাম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যার সঙ্গে জুয়েল খাঁ ভুল নম্বরে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাকে গত ৬ অক্টোবর বিকেলে প্রেমিক জুয়েল পানিউমদা থেকে সিলেট নিয়ে যায়।
এরপর শহরে কদমতলী থেকে প্রেমিক জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ মিলে সিলেট শহরের তালতলা আবাসিক হোটেলের একটি রুমে নিয়ে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে তাকে (কিশোরী) বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান জুনেদ মিয়া।
এছাড়া জুয়েল মোবাইল ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে বিষয়টি স্বজনদের জানালে তারা বাহুবল মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বাহুবল থানার পুলিশ নবীগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক জুয়েল খা ও তার বন্ধু জুনেদ মিয়াকে (২৬) গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি শেষে তাদেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাহুবল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া যে সিএনজি দিয়ে ভিকটিমকে আনা হয়েছে সেই সিএজিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ