ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় কুপিয়ে ও গলা কেটে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাপ হোসেন শেখ (৫৫) কে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আলাপ হোসেন ওই গ্রামের ভোলায় শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলাপ হোসেন সন্ধ্যায় কয়েকজন সঙ্গীসহ একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাদামতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। তারা হরিশংকরপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গলাকেটে আলাপ হোসেনকে হত্যা করে।
এসময় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নুর ইসলাম গুরুত্বর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাপ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত নুর ইসলামকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, নিহত আলাপ হোসেনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। এরই জের ধরে হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সাবেক চেয়ারমান ও হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফরিদ জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুমের সমর্থক চিহ্নিত খুনি বল্টু ও তুফানের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, নিহত আলাপ হোসেন একসময় চরমপন্থী দল বিপ্লবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন ও ক্রসফায়ারে নিহত চরপন্থী দলের আঞ্চলিক নেতা সামছুল ওরফে সামছেলের ডানহাত ছিলেন। ওই সময় আলাপের দাপটে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে পারতো না। তারা সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমর্থকও ছিলেন, পরে সেই হিসেবে আ. লীগের নেতা হয়ে গেছে।