নিজস্ব প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও: শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ঝলসে যাওয়া গৃহবধূ মৌসুমি আকতার (১৯) এর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৮ অক্টবর) বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মৌসুমীর স্বামী ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর ভোররাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসুমী আকতারকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ওইদিন সন্ধ্যায় গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য রেফার্ড করা হয়।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের স্ত্রী ও আমজানখোর ইউনিয়নের মমিনটলা গ্রামের সমির উদ্দীনের মেয়ে। দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে মৌসুমি আকতার ও সাজেদুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের একমাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
মেয়ের বাবা সমির উদ্দীন জানান, বাচ্চা প্রসবের সময় মেয়ের জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। বাচ্চা প্রসবের পর মেয়ে আমার বাড়িতেই ছিল। এক সপ্তাহ হল তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছি। সেই কথা কাটাকাটির জের ধরেই জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়ের উপর কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমি ও তাঁর স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। এমনকি তারা সংসার না করারও ঘোষনা দেয়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাসিবুল হক প্রধান জানান, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মৌসুমী আকতার মারা গেছে। মৃতের অভিভাবকরা লাশ নেওয়ার জন্য এখন ঢাকার পথে। আগামীকাল দুপুরে লাশ পেতে পারে। তাই এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইানগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমএইচ