সারাদেশ
শ্রমিক সংকট

চলনবিলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকা ধান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার শাহজাদপুর, কাজীপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, বেলকুচি, সদরসহ চলনবিল অঞ্চলে শত শত বিঘা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে আছে। তলিয়ে যাওয়া ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। ডুবো ধান কেটে ঘরে তুলতে অতিরিক্ত খরচে বিপাকে আছেন তারা।

চলনবিলে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও অতিবর্ষণে যমুনার পানি বাড়ায় চলনবিলের শাখা নদীগুলোতেও পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জসহ চলনবিলের শত শত বিঘা পাকা ধান। তলিয়ে যাওয়া ধান ঘরে তুলতে শেষ মুহূর্তে মহাব্যস্ত কৃষকরা। তবে শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি-না, এ নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে তাদের মধ্যে।

সিরাজগঞ্জে এবার এক লাখ ৪১ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। ফসলি জমির বেশিরভাগই এখন সোনালি ধানে ভরা। আর মাত্র দুই-তিন দিন পরই গোলায় উঠতো এই ধান। করোনায় শ্রমিকের অভাবে তলিয়ে থাকা ধান কাটতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ ডুবে ডুবে ধান কাটছেন। ধান ঘরে তুলতে খরচ বাড়লেও স্থানীয় কৃষি দফতর থেকে কোনও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকদের অনেকেই।

কৃষকরা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে অন্যান্য জেলা থেকে মজুরেরা আসতে পারছে না। আর সংকটের কারণে স্থানীয় শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তারা বলেন, পানিতে পোকার সমস্যা থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটতে চাচ্ছেন না। ৫শ' টাকার শ্রমিক এখন এক হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না। সময় ও খরচ বাড়লেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে কোনও প্রণোদনা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কৃষকরা।

শুধু কি ধান! নিচু জমির সবজি, পাট ও তিল ডুবে গেছে পানিতে। এবার ফলন ভাল হলেও এ ফসল ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ২৫ মেট্রিক টন বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক লাখ ৪১ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার ৮শ' ৬৫ হেক্টরে ৪৭ হাজার ৮শ' ৯৭ মে. টন হাইব্রিড, এক লাখ ২৯ হাজার ১০ হেক্টরে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৭শ' ৭৬ মে. টন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) এবং ২ হাজার একশ' ৬৫ হেক্টরে ৪ হাজার ৩শ' ৫২ মে. টন লোকাল ভ্যারাইটি ধান।ইতিমধ্যেই জেলায় প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক বলেন, ‘এবার কারোনায় খাদ্য নিরাপত্তায় ধানের আবাদ বেশ গুরত্বপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও অতি বৃষ্টির কারণে নদ-নদী, খাল-বিলে পানি বাড়ায় কিছু জায়গায় ধান তলিয়ে গেছে। জেলার ৮৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ৮-১০ দিনের মধ্যে বাকি ধান কাটা শেষ হবে। ডুবো ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ হবে। চলমান করোনায় প্রায় ৩ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে বেশকিছু কৃষকের সবজি খামার গড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। করোনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি আমরাও মাঠে আছি।'

সান নিউজ/ বি.এম.

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মাদাগাস্কারে নৌকাডুবে ২৪ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাদাগাস্কারের উপকূলে দুইটি নৌকাডুবে কমপক...

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায়...

আজও সড়কে রিকশাচালকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে আজও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন...

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর...

প্রেস ক্লাব ছাড়লেন রিকশা চালকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি আ...

কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় জেলার শহ...

নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হওয়ার আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছেন, সাগরে অবস্থানরত স...

ডিবি হেফাজতে চিন্ময় কৃষ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিমানব...

শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে শিক্ষার্থী...

শ্রমিকদের ফের সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলায় বেক...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা