বরিশাল প্রতিবেদক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে এক রোগীকে প্লাজমা দেয়ার কিছুদিন পরই আবারও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বরিশালের এক চিকিৎসক।
করোনা আক্রান্ত হওয়া বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই মেডিকেল অফিসার বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বলেন, ১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিরত অবস্থায় জানতে পারেন সেখানকার এক নার্স, এক পিওন ও জেনারেল ওয়ার্ডে মারামারি করে ভর্তি হওয়া এক রোগীর করোনাপজিটিভ।
তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল আমি জানতে পারি আমার কোভিড-১৯ পজিটিভ। কিছুদিন পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে এবং ২৭ এপ্রিল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে বাসায় চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, মে মাসের ২০ তারিখে কর্মস্থলে যোগদানের পর একজন মাকে বাঁচাতে প্লাজমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ২৬ মে ঢাকায় যাওয়ার পর প্লাজমা দিয়ে ওইদিনই বরিশালে ফিরে আসি। পাশাপাশি যথানিয়মে কাজ চালিয়ে যেতে যেতে অনুভব করি জ্বর-সর্দি-কাশি অর্থাৎ নিজের শরীরে করোনার উপসর্গ। যদিও প্রথমবার এসবের কোনো লক্ষণই আমার ছিল না।
তাই ৩০ মে আবার কোভিড টেস্টের জন্য নমুনা দিই যার রিপোর্ট মঙ্গলবার (০২ জুন) পজিটিভ আসে।
ঢাকা থেকে আসার পর কোনো লক্ষণই ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া এক রোগীকে দেখার পর থেকে কিছুটা সংশয়ে ছিলাম। কারণ তিনি ঢাকা থেকে বাবুগঞ্জে এসেছিলেন। সুস্থ হয়ে কাজে ফিরব এ আশা নিয়েই আগের মতো নিজেকে আলাদা রেখে চিকিৎসা নিচ্ছি। সঙ্গে নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করছি।
আর সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, করোনা একবার হলে আবার যে হবে না এটা ভাবার কিছু নেই। তাই সচেতনতা আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। আর উপসর্গ থাকলে তা কখনও উচিত হবে না গোপন করা।
সান নিউজ/ আরএইচ