নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে ভারতীয় বন্য হাতির দলের তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সেখানকার কৃষকরা। ঢাক-ঢোল বাজানোসহ আগুন জ্বালিয়েও হাতি তাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে গ্রামবাসী।
ভারতের গারোহিল পাহাড় থেকে নেমে আসা ২০/২৫টি করে একাধিক হাতির দল কালাইচর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের রৌমারীতে প্রবেশ করে। ৭/৮ দিন ধরে প্রতি রাতেই সীমান্ত পেরিয়ে বন্য হাতির দল সেখানে এসে উপজেলার আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্দা, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর ও বড়াইবাড়ীর চরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ে পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে পিষে নষ্ট করছে।
সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর একাধিক কৃষকরা জানায়, আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫৭ থেকে ১০৭২ এর মধ্য দিয়ে প্রতি রাতে বন্য হাতির দল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রাতভর ফসলের ক্ষতি করে নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। আবারো রাতের আঁধারে প্রবেশ করে। মাঝে মধ্যে খাবার না পেলে কৃষকের ঘর-বাড়িতেও হামলা চালায় বন্যহাতির দল।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন জানান, পাহারে খাদ্য সংকট দেখা দিলেই বন্যহাতির দল বাংলাদেশের লোকালয়ে নেমে আসে। ইতোমধ্যে আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় বন্যহাতি রৌমারী এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া বন্ধ করার জন্য দু’দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখনও করছি। কিন্তু কোনো সুরাহা মিলছে না।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান জানান, প্রতিবছর এই মৌসুমে ভারতীয় হাতির দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ফসল ও মানুষের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে। ফসল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হচ্ছে।