নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম আলী (৫৮) মধ্যবয়সী এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন। পরে গ্রামবাসীর চাপে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুবছর আগে ওই নারী একটি জমি বিক্রি করেন আজম আলীর কাছে। এ থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয় ও সম্পর্কের সূত্রপাত। এ সম্পর্কের টানে মঙ্গলবার রাতে মধ্যবয়সী নারীর বাড়িতে যান আওয়ামী লীগ নেতা আজম। পরে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে হাতে-নাতে ধরেন গ্রামবাসী। পরবর্তীতে উভয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে কাজি ডেকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করা হয়। আজম আলী অবিবাহিত ছিলেন। আর ওই নারী বিধবা ছিলেন।
স্থানীয় কাজী আবুল বাশার বলেন, ‘ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশেই ঘটেছে। পরে লোকজন জানাজানি হলে আমাকে খবর দেয়। তাদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই অবৈধ সম্পর্ক ছিলো।’
ইউসুফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম রতন বলেন, ‘আজম আলীর অনেক বয়স হওয়ার পরও বিয়ে করেননি। এদিকে ওই নারীর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনিও বিধবা ছিলেন। আর তাই দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেই তাদের বিয়ে হয়। এখানে কোনো প্রকার আপত্তিকর কিছুই ঘটেনি।’
সান নিউজ/ এমবি