নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত শনিবার (৩০ মে) থেকে সোমবার (১ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দিনে নেত্রকোনায় পানিতে ডুবে মারা গেছে সাত শিশু। এর মধ্যে কলমাকান্দায় তিন, পূর্বধলায় দুই, আটপাড়ায় এক ও দুর্গাপুরে এক শিশু। এদের প্রত্যেকেরই বয়স দুই থেকে নয় বছর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কলমাকান্দার পাঁচকাঠা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার দুই বছর বয়সী ছেলে আকাশ মিয়া বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশুটি বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল একই দিন বিকেল পাঁচটায় কলমাকান্দা উপজেলার বাগজান গ্রামের আয়নাল মিয়ার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে খেলতে গিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কুতিগাও গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার চাকুয়া গ্রামের মামুন মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে মাইমুনা আক্তার পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার বিকেলে দুর্গাপুর সদরে সোমেশ্বরী নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিহাব হোসেন নামের সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই দিনে পূর্বধলা সদরের ছোচাউড়া গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের চার বছরের ছেলে মাজহারুল ইসলাম বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে পুকুর পাড়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে মাজহারুলকে উদ্ধার করে। পরে তাকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন দুপুরে পূর্বধলার গিরিয়াসা গ্রামে কংস নদের পানিতে ডুবে সিয়াম হোসেন (৯) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সিয়াম ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
এর আগে আটপাড়ার ভরতোষীচর গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার তিন বছরের ছেলে তাকমির গত শনিবার বিকেলে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে কিছুক্ষণ পর পুকুরে গিয়ে তার লাল ভাসতে দেখে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম, পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহীদুর রহমান ও আটপাড়া থানার ওসি মো. আলী হোসেন পৃথক এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।