নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগ। ফটকের মুখে স্বজনদের ভিড়। ভেতরের ওয়ার্ড ও বারান্দায় গিজগিজ করছে মানুষ। বারান্দায় পাতা কয়েকটি শয্যা। ওয়ার্ড ও বারান্দার প্রতিটি বিছানায় বসা দুই থেকে তিনজন নারী। তাদের কোলে বা পাশে শিশু রোগী। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত ৩/৪ গুন রোগী প্রত্যহ চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটে পড়ায় চিকিৎসা নিতে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। উপায়ান্তর না পেয়ে অনেকে বারান্দা, মেঝে ও ওয়াডের্র বাইরে গাছ তলায় আসন পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
হাসপাতালের ৪৫ শয্যার ওয়ার্ডটিতে তখন ভর্তি আছে ১৩৭ শিশু রোগী। শয্যা বিছানার সংকুলান না হওয়ায় একই শয্যায় দুই থেকে তিনজন শিশুকে রাখার পাশাপাশি মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশু রোগীকে। এতে এক বিছানায় দুই থেকে তিনজন শিশু রোগীকে পালা করে ঘুমাতে হচ্ছে। শয্যার অভাবে একটি বেডে কমপক্ষে ৩ হতে ৪ জন শিশুকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের।অতিরিক্ত ভীড়ের কারণে তিল ধারণের ঠাই নেই শিশু ওয়ার্ডে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এ ওয়ার্ডে বিভিন্ন রোগে ১৬২ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় ৯৬ ও ডায়রিয়ায় ১১ জন। তার মধ্যে ৮ মাস বয়সের একজন শিশু মারা গেছে।
অভিভাবকের অভিযোগ, একটি বেডে ৩/৪ জন করে শিশুকে রাখা হচ্ছে। রোগী ও তাদের স্বজনদের ভীড়ে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে শিশুদের মাঝে জ্বর, সর্দি, কাশি বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপে গরমে অনেকে থাকতে না পেরে সন্তানের চিকিৎসার স্বার্থে গাছতলায় বাইরে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হয় না।
সান নিউজ/এনএএম