নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে নাসিরুল (২২) নামের এক জামাইকে পেটানোর অভিযোগে শ্বাশুড়ি সেলিনাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তাকে আটক করে পুলিশ। রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙবাড়িতে প্রভাবশালীর মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করায় স্ত্রীর বাবা-মার হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার নাসিরুল ইসলাম ওই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে। আটক সেলিনা একই করিমুল ইসলামের স্ত্রী।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, গরীব পরিবারের সন্তান নাসিরুলের সঙ্গে একই এলাকার করিমুলের মেয়ে কেয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা ভালোবেসে বিয়ে করে আত্মগোপন করেন।
এদিকে, মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক সময় বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা। মেয়ের পরিবার তুলনামূলক ক্ষমতাধর হওয়ায় ছেলের পরিবার ভয় পেয়ে ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি জানায়।
বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে নাসিরুল ও কেয়া পরিবারের কাছে ফিরে আসে। এরপরে ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান নাসিরুল। তখন কেয়ার বাবা-মা নাসিরুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকেন।
অত্যাচারের সময় তিনি চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান। বারবার ক্ষমা চান। তবুও তাকে মারধর করতে থাকে মেয়ের পরিবার। শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ গিয়ে নাসিরুলকে উদ্ধার করে রাণীংশকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ফিরোজ আলম জানান, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সরাসরি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ