নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী এবং গবেষণাধর্মী সংগঠন রাইট টু পিস (আরটুপি) "রামাদ্বান পিস ক্যাম্পেইন ২০২০" শিরোনামে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা কোভিড-১৯ দ্বারা উদ্ভূত সংকটে প্রকৃত অর্থে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে সহযোগিতা করা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে আর টু পি ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় অনেক পরিবারকে অন্তত এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে দেশব্যাপী সমাজ সচেতনতামূলক এবং উন্নয়নধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় আর টু পি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিজেদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আর টু পি’র স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা। এ বছর বর্ষা পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গু সংক্রমণের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করে সংগঠনটি ঢাকাকে ডেঙ্গু মুক্ত করার লক্ষ্যে “ডেঙ্গুমুক্ত ঢাকা চাই”শিরোনামে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম এবং বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী পরিচালনা করে। এছাড়া আর টু পি’র মূল কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো মানবিক সহায়তা, যা দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরি। করোনাকালীন সারাদেশ লকডাউনের আওতায় থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক পরিবারেরই আয়ের সকল উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হয়। কঠিন পরিস্থিতি পার করছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও। তাদের অনেকেই সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে কারো কাছে সাহায্যও চাইতে পারছে না। এমতাবস্থায়, আর টু পি তাদের চিহ্নিত করে মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় যে, মূলত বর্তমানে যাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য প্রয়োজন তাদেরকে আর টু পি’র ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে প্যাকেজগুলি বিতরণ করা হয়। প্রতি প্যাকেজে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেকগুলি পণ্য ছিলো। এ কর্মসূচির আওতায় আর টু পি ঢাকা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, চাঁদপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, রংপুর, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু পরিবারকে তাদের প্যাকেজ পৌছে দিতে সমর্থ হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করছে যে তারা যাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে তারা হয়তো মোট বিপদগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ৷ তাই তারা সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরকে করোনাকালীন সময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।