নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর সোনাগাজীতে পৌর নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর এক সমর্থকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোট শুরুর পর পৌর সভার ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজ কেন্দ্র, উত্তর চরছান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও প্রি-ক্যাডেট কেন্দ্রে সরে জমিনে চিত্র দেখা গেছে।
সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকের হাফেজ হিজবুল্লাহ, স্বতন্ত্র মোবাইল প্রতীকে আবু নাছের ও জগ প্রতীকে শেখ সেলিম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, উত্তর চরছান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ হিজবুল্লাহকে নাজেহাল করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।
এছাড়া সকাল ১০টার দিকে আলহেলাল একাডেমি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী ইমাম উদ্দিন ভূঁঞা ও আব্দুল হালিম সোহেল ভূঁঞার সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বিজিবি পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মো. জনি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে আরও ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের আশপাশে ফেনী ও সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক নৌকা প্রতীকের সমর্থক অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রে তাদের সমর্থক ছাড়া কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবু নাসের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোট শুরুর পর ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন শুরু করলেও ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম। ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কেন্দ্র ছাড়া বাকি ৮ টি কেন্দ্রে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া অন্য তিন প্রার্থীর এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মেয়র প্রার্থী আবু নাসের ও হাফেজ হিজবুল্লার অভিযোগ, সরকারি দলের সমর্থকরা তাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মাইনুল ইসলাম ১৪ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
সাননিউজ/ জেআই