সান নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় মহা ধুমধামে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক। দুপুরের দিকে আসবে বরপক্ষ। কন্যার বাবা অপেক্ষা করছেন বরপক্ষের জন্য। তারপর বিয়ে দিয়ে কন্যার বাবা দায়গ্রস্ত হবেন। কিন্তু আনন্দের পরিবর্তে কন্যার বাবা বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালালেন। কারণ, বরেপক্ষের বদলে বাড়িতে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঘটনাটি সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম।
পরে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীর বাল্যবিবাহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পণ্ড করে দেন। তবে কনের বাবার পলায়ন ঘটলেও মাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এভাবে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ১৫ বছর বয়সী এই ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, পলাতক আব্দুল হকের ১৫ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল সোমবার। বিয়ের দিন দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে হাজির হন।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা বাড়ি পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে মেয়ের মাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০০৪-এর অধীনে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত এবং প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, স্থানীয় ইউপি অফিস থেকে সচিব ও চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত কিশোরীর জন্মসনদের সঙ্গে স্কুলের রেজিস্ট্রারের জন্মতারিখের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। জন্মসনদে জালিয়াতি করা হয়েছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সান নিউজ/এনএএম