নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত ৭ ডাকাত ও স্বর্ণ ক্রয়কারী ১ দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণসহ অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
গ্রেফতাররা হলেন- শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার সোনার দেউল গ্রামের মৃত মোসলেরের ছেলে মো. সাব্বির (ওরফে) হাত কাটা স্বপন (৪৯), মাদারীপুরের শিবচর থানার চর চান্দা কাঁঠাল বাড়ির চর গ্রামের আরব আলী হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার (২৫), চাঁদপুর গ্রামের মতলব উত্তর থানার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত বাহর আলী প্রধানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০), শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার রাজারিশ্বা গ্রামের মো. জুলমত আলী মোল্লার ছেলে মো. বিল্লাল মোল্লা (৩০), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর বিথুরবন্দর গ্রামের মৃত- অলি আহম্মেদ বেপারির ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), মাদারীপুরের শিবচর থানার হাওলাদার কান্দি গ্রামের আ. রব মিয়া খাঁর ছেলে মো. ফারুক খাঁ (২১), শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের মৃত- আসমত কবিরাজের ছেলে মো. আফজাল হোসেন (৪৭), শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার বাহেরচর গ্রামের মো. ইদ্রিস বেপারীর ছেলে এবং স্বর্ণক্রয়কারী দোকানদার মো. আক্তার হোসেন (৩২)।
এর আগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ) রাত ২টার দিকে ২০-২২ জনের একটি দল সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে। তারা বাজারের পাহারাদারদের হাত বেঁধে তিনটি দোকানে লুটপাট চালায়। সে সময় দুটি দোকান থেকে ১০৮ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ লাখ টাকা লুট করে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ঘটনার পর দিন থেকে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত মাওয়া, শিবচর, জাজিরা, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, তাঁতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট, ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ম্যাগজিন, পিস্তল, গুলি ও চাপাতিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতার ও স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাকাত চক্রটি বংশ পরম্পরায় ডাকাতি করে আসছে। ইতোমধ্যে একটি বড় লঞ্চে ডাকাতির কথাও তারা স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সান নিউজ/ এমবি