নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনা পরিস্থিতি দেশবাসীর জন্য অভিশাপ হলেও, কারো কারো জন্য এটা পকেট ভরার সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই তো দেশের এই দুর্দিনে সুযোগ পেয়ে যা পারছে লুটে নিচ্ছে। করোনা শুরুর পর থেকেই দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ত্রাণ চুরির খবর এসেছে দেশের গণমাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কিছুদিন তা বন্ধ থাকলেও আবারও নতুন করে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সরকার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।
সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত করা ইউপি সদস্যরা হলেন—উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিলকিস বেগম এবং রায়েদ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগের বন ও পরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাম্মৎ ইসমত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইউএনও জানান, তদন্তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে সুপারিশ করেন। পরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এছাড়া কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না—এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ডিসি আরও বলেন, 'অন্যদের নামে কার্ড ইস্যু করে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে এই দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ মে) ভ্রাম্যমাণ আদালত বোরহান উদ্দিনকে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জারিমানা করেছেন। গত ১৫ এপ্রিল বিলকিস বেগমের বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাঁচ বস্তা চাল উদ্ধারের পর, তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।