নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ মাস্টার হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. মনির কামাল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ৪ আসামি হলেন- চাঁন মিয়া খান, নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাদবর ও জুলহাস মাদবর।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি হলেন- আবদুল হালিম মোল্যা, ফারক খান, আজিজুর মাদবর, জলিল মাদবর, আজাহার মাদবর, লাল মিয়া মীর, মিজান মীর, এমদাদ মাদবর ও আক্তার গাজী।
আর খালাস পাওয়া ৫ জন হলেন- আজিবর বালি, খোকন ব্যাপারী, সোহরাব মোল্যা, আজাহার মোল্যা ও আব্দুল খন্দকার।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীর মোড় বাসস্ট্যান্ডে আবদুস সামাদ মাস্টারকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়। ১৭ জানুয়ারি নিহত সামাদ মাস্টারের স্ত্রী ফেরদৌসী আজাদ তৎকালীন চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার জন্য আবেদন জানান মামলার বাদী। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে-৩-এ স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। আজ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
নিহত আবদুস সামাদ মাস্টার ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০০৩ সালে চন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
সান নিউজ/ এমবি