নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তরা: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ১১নম্বর সেক্টরে একটি ছাত্রাবাসে আবির হোসেন খান (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক এসআই লাল মিয়া শনিবার (১১ সেপ্টম্বর) রাত সাড়ে আটটায় উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত ওই ছাত্র টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মো. ফজলুর রহমান ও আবিদা সুলাতানার ছেলে। বর্তমানে তিনি পরিবারের সঙ্গে নবাবগঞ্জে বসবাস করতেন। সেই সঙ্গে কলেজের হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। করোনা মহামারির পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় তার বাবা ফজুলর রহমান শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে কলেজের হোস্টেলে দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লাল মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আবির হোস্টেলের জানালার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তার বাবা ফজলুর বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ওই ছাত্রের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তার শরীর কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আবির আত্মহত্যা করেছে। বাকিটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।’ কিন্তু কী কারণে আবির আত্মহত্যা করে থাকতে পারে তাও জানাতে পারেননি তিনি।
অপরদিকে শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বকুল মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
নিহতের বাবা জানান, শনিবার আমি নিজেই আমার ছেলেকে উত্তরায় হোস্টেলে রেখে আসি পরে সন্ধ্যায় খবর পাই সে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, আবির তার মোবাইল বাসায় রেখে গিয়েছিল সেখানে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয় না। বুয়ার কাছে মোবাইল চাওয়ায় সে বলেছিল তোমার বাবা তো কিছুক্ষণ আগে তোমাকে রেখে গেছে এখন আবার কি কথা বলবা, হয়তো সে কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে।
তবে কি কারণে কেন এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারেনি।
সান নিউজ/এনএএম