নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে মরণ নেশা ইয়াবার সরবরাহ বাড়ায় দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। আগে চট্টগ্রামে প্রতি পিস ইয়াবা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় যেখানে বিক্রি হতো সেখানে প্রতি পিস ইয়াবা মাত্র ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাতটি আন্তর্জাতিক রুট দিয়ে ইয়াবা আনা হচ্ছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়াবা সহজলভ্য হয়েছে। আর দাম কমে যাওয়ায় ইয়াবার প্রতি যুব সমাজের আসক্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে শঙ্কা সমাজ সচেতন মহল।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, প্রথম প্রথম ইয়াবার দাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কিংবা আরও বেশি ছিল। বর্তমানে ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে ইয়াবা মিলছে। বহনে সহজলভ্য হওয়ায় এমনটাই হয়েছে।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। সাতটি আন্তর্জাতিক রুট ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী চক্র দেশে ইয়াবা আনছে। জনবল কম থাকায় নানা সীমাবদ্ধতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষে মাদক নির্মূলে পুরোপুরি ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের হাতে চট্টগ্রামে মাদকের বড় চালানগুলো ধরা পড়ত। এখন সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ একটি জোন থেকে চারটি জোনে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে জনবলসহ কাজের পরিধি। এরপরও মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ নির্মূলে সংস্থাটি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে র্যাবের অভিযানে মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে।
সান নিউজ/এমএইচ