নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের নগরের মুরাদপুর মোড়। পরিশ্রান্ত হাঁপাচ্ছেন এক বৃদ্ধ। নাম শামসুল হক। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত শরীর যেন আর চলে না। তার পরেও দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে চালাচ্ছেন রিকশা। পরিবারের ঘানি টানতেই তার এ পরিশ্রম।
শামসুলের স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলের সংসার। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, দুই ছেলে এখনও ছোট। তাই নিজেকে এখনও উপার্জন করতে হয়। এ পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেতে দারোয়ানের চাকুরি চাইলেন শামসুল। জীবনের বাকি সময় একটু বিশ্রামে কাটাতেন চান তিনি।
রিকশা চালাতে চালাতে কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি জানান, বৃদ্ধ বলে অনেকে রিকশায় চড়তে চান না। আগের মতো গাড়ি চালাতেও পারিনা। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য উপার্জন করতে হবে। না হলে উপোস থাকবে পরিবারকে।
বৃদ্ধ শামসুল হক ১৯৮৮ সাল থেকে চালাচ্ছেন রিকশা। নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম চান্দুর গ্রামে জন্ম তার। চট্টগ্রামে আসার পর থেকে শিখেছেন আঞ্চলিক ভাষাও।
শামসুল বলেন, দৈনিক ২৫০ টাকা আয় শামসুলের। এর মধ্যে ১০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে বাকি টাকা পাঠাতে হয় বাড়িতে। গাড়ি চালাতে গিয়ে কাঁপুনি আসে। কিন্তু তবুও সকাল ৮ টায় বেরিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চালাতে হয়।
এত বছর ধরে রিকশা চালালেও সরকারের কোনো তহবিল থেকে পান না সাহায্য সহযোগিতা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বয়স্ক ভাতার আমরা দিতে পারবো না। তবে, আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অসহায় দরিদ্র মানুষদের ত্রান ও আর্থিক সহায়তার আওতায় এনেছিলাম। এ কার্যক্রম আমাদের এখনো চলমান।
সান নিউজ/এফএআর