নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদের পর দিনও দেখা গিয়েছে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তারা গ্রামের বাড়িতে ছুটছে।
আর তাই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ দেখা যায় সকাল সাতটা থেকেই। দুপুরে দুই ঘাটেই নদীর উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ' যানবাহন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সকলে থেকেই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিনবঙ্গের যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। লক্ষ্য করা গেছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়ছে।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মো. জামিল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আজও হাজার হাজার মানুষ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে বাড়ি ছুটছেন। অন্যদিকে কোনো রকম বিড়ম্বনায় যাতে না পড়তে হয়, সেকারণে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় যোগ দিতে আগেভাগেই পারাপার হচ্ছেন অনেক যাত্রী।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীরা বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছছে। এখান থেকে নির্বিঘ্নে ফেরি দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ আগের মত নেই। যাত্রীর চাপ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছে। সকাল থেকে ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ছোট ছোট গাড়ি।
এদিকে ফেরিঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরাও। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। তবে, মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তা ছিল অকার্যকর। ফলে অবাধে যাতায়াত করছে মানুষ। এরমধ্যে কোথাও কাউকেই মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
সান নিউজ/ আরএইচ