নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে সময় তাঁর স্বামীকে আটক করে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনার ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র্যাব এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনর ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তাঁরা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাঁদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ জন যুবক তাঁদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাঁদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। পরে তাঁর স্ত্রীকে অন্য নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় র্যাব এক আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সান নিউজ/ জেআই