নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে নগরের বেসরকারি হাসপাতাল মাউন্ড এডোরায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন লুৎফুর রহমান। পরে চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হন তিনি। তবে করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনদিন আগে ডায়রিয়া ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে নগরের মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে মারা যান তিনি।
অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর থানার বড় হাজিপুর গ্রামে। সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজারের বাসভবনে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। সাবেক এ গণপরিষদ সদস্য স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
লুৎফুর রহমান রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষরকারীদের একজন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এছাড়াও তিনি অসংখ্য সামাজিক ও উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। লুৎফুর রহমান সিলেটে সকল মহলে অভিভাবক তুল্য নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেটসহ দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত রাজনৈতিক, সমাজিক, পেশাজীবী মহলসহ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
সান নিউজ/এমবি